ওয়েব ডেস্ক: বড় দুই দলের সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশির পর অনেককে আটকের তথ্য মিলেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, তল্লাশিকালে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের আটক করছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের স্লোগান দিলে সেসব বাস তল্লাশি ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বিএনপি কর্মীদের।
তবে, বিএনপির এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে পুলিশ বলছে, বিএনপি-আওয়ামী লীগ কোনো বিষয় নয়। যাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে তাদের আটক করা হচ্ছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাবুবার ব্রিজ সংলগ্ন চেকপোস্টে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন সকাল ৭টা থেকে বাবুবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকার অন্যতম এ প্রবেশমুখ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ প্রবেশ করছে। চেকপোস্টে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীর, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন চেক করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সব বাস ও সাধারণ যাত্রীদের তল্লাশি করছে পুলিশ। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে আসে কয়েকটি বাস। তবে কোনো ধরনের তল্লাশি ছাড়াই ওইসব বাস ছেড়ে দেয় পুলিশ।
তাঁতীবাজার মোড়ে কথা হয় বিএনপির কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে। মহাসমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে যাচ্ছেন তারা। বিএনপির এসব কর্মী অভিযোগ করেন, পুলিশ আজ দ্বিমুখী আচরণ করছে। সকাল থেকে আমাদের অনেক ভাইকে আটক করছে। আমরা হেঁটে অলিগলি দিয়ে চেকপোস্ট এড়িয়ে মহাসমাবেশে যাচ্ছি।
তবে বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, দুই প্রধান দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে নাশকতা ঠেকাতে এবং কেউ যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে- তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই চেকপোস্ট কার্যক্রম। বিএনপি-জামায়াত কোনো ইস্যু না, সন্দেহজনক হলে আটক করা হচ্ছে।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ- দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাউকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে তল্লাশি নয়, পূজার আগে থেকে আমাদের তল্লাশি চলছে। ঢাকার নিরাপত্তার স্বার্থে এ তল্লাশি।’
আওয়ামী লীগের কর্মীদের তল্লাশি ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ কোনো বিষয় নয়। যাদেরকে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকে আটক করছে পুলিশ।’